মায়ের দুধ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা প্রথম ৬ মাস শিশুকে রক্ষা করে। কারণ তখন পর্যন্ত শিশুর নিজের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠেনি। ৬ মাস পরে, শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠতে শুরু করে।
শিশুর কাশি বা সর্দি হলে তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শরীরকে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত করে। উপসর্গ যেমন জ্বর, হাঁচি, রাতে ঘুমাতে সমস্যা, দুধ পান করতে অসুবিধা, রাতে ক্রমাগত কাশি ইত্যাদি।
সময়মতো এই লক্ষণগুলি দূর করা প্রয়োজন। তা না হলে শিশুদের স্বাস্থ্যের ওপর খারাপ প্রভাব পড়তে পারে।
কিছু ঘরোয়া প্রতিকার আপনাকে শিশুদের কাশির সমস্যা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করতে পারে। কোন ঘরোয়া প্রতিকারগুলি আপনার সর্দি এবং কাশি বৃদ্ধিতে কার্যকর হতে পারে।
ভাপের সাহায্য নিন:
নবজাতক শিশুর জন্য বাষ্প কতটা ক্ষতিকর তা ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা প্রয়োজন। কিন্তু ঘরোয়া উপায়ে আপনি সহজেই সর্দি কাশি থেকে মুক্তি পেতে পারেন। তবে তার আগে অভিভাবকদের জানা জরুরী যে ছোট বাচ্চাদের স্টিম করার সঠিক উপায় কী?
রসুন সহায়ক:
শিশুর সর্দি-কাশিও রসুনের মাধ্যমে দূর করা যায়। রসুনের ভিতরে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায় যা সর্দি-কাশির সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে। শিশুদের প্রথম ৬ মাস বুকের দুধ দেওয়া হয়। এমন পরিস্থিতিতে মায়েরা তাদের খাদ্যতালিকায় রসুন যোগ করতে পারেন।
তুলসী পাতার ব্যবহার:
তুলসী পাতায় অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্যও রয়েছে। শিশুর কাশি দূর করতে তুলসী পাতা খুবই সহায়ক। শিশুদের তুলসীর নির্যাস মধুর সাথে মিশিয়ে দিন, তবে তার আগে জেনে নিন এর সীমিত পরিমাণ সম্পর্কে। এতে করে কাশি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
হলুদ উপকারী হতে পারে:
হলুদের অভ্যন্তরে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণাবলী পাওয়া যায়। বাচ্চাদের দুধের সাথে হলুদ মিশিয়ে খাওয়ানো যেতে পারে, বলুন যে ছোট বাচ্চাদের কাশি, সর্দি ইত্যাদি দূর করতে হলুদ একটি ভাল বিকল্প। এছাড়াও হলুদ শ্লেষ্মা পাতলা করতে এবং তা দূর করতেও সহায়ক।
গরম সর্ষের তেল দিয়ে ম্যাসাজ:
সর্ষের তেল দিয়ে মালিশ করা শিশুদের সর্দি-কাশি উপশমে উপকারী। এই তেলে দুই কোয়া রসুনের সঙ্গে মৌরির বীজ দিয়ে গরম করুন। এবার তৈরি তেল দিয়ে শিশুর পিঠ, তালু, বুকে, পায়ে মালিশ করুন। এটি করলে কাশি থেকে মুক্তি মিলবে।
ভিটামিন সি ব্যবহার:
আমাদের চারপাশে এমন অনেক খাবার রয়েছে, যেগুলোতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। যেমন কমলা, আমলা, লেবু ইত্যাদি। ভিটামিন সি যুক্ত রসও কাশি থেকে মুক্তি দিতে পারে। শিশুদের খাবারে ভিটামিন সি যোগ করুন।
No comments:
Post a Comment