শেষকৃত্যের পরও একজন অজ্ঞাত মৃতের ফিরে আসার ঘটনায় ছত্তিশগড়ের মহাসমুন্দ জেলা সহ পুরো ছত্তিশগড়ে উত্তপ্ত হয়ে পড়েছিল । চার দিন ধরে শোকে কাতর পরিবারের জন্য এটি একটি অলৌকিক ঘটনা থেকে কম কিছু নয়। পরিবারের সদস্যরা, যাকে তাদের মৃত নাবালিকা বলে দাহ করেছে, শেষ পর্যন্ত সে কে ছিল? শেষকৃত্যের সঙ্গে সঙ্গে সেই মৃতের সমস্ত আলামত নষ্ট হয়ে গেছে। এই ঘটনা সবাইকে হতবাক করেছিল।
মহাসমুন্দ জেলার বাগবাহরা ব্লকের তেন্দুলোথা গ্রামের একটি নাবালিকা ১৭ এপ্রিল ২০২১ কেউ কে কিছু না জানিয়ে বাড়ি থেকে চলে গিয়েছিল। অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও মেয়েটিকে পাওয়া যায়নি,এরপর পরিবারের সদস্যরা নিকটস্থ থানায় খবর দেয়। পুলিশ অপহরণের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে। তারপর ১৯ মে ভালুচুওয়ান কান্দিঝাড়ে অজ্ঞাত এক তরুণীর অর্ধ-দগ্ধ লাশ পাওয়া যায়। ২০ মে তেন্ডুলোথা গ্রামের একটি পরিবার তাকে তাদের মেয়ে বলে শনাক্ত করে এবং সম্পূর্ণ রীতিনীতির শোন তাকে দাহ করে।
২৩মে রায়পুর থেকে উদ্ধার করে পুলিশ
২৩ মে, শেষকৃত্য করার চতুর্থ দিন, পরিবারের সদস্যরা রায়পুর থেকে তাদের মেয়ের বেঁচে থাকার খবর পান। এরপর নাবালিকাকে বাগবাহরা থানায় নিয়ে আসেন পুলিশকর্মীরা। পুলিশ জানিয়েছে, রায়পুর থেকে নাবালিকাকে উদ্ধার করা হয়েছে। নাবালিকার মতে, মায়ের বকাঝকাতেই সে বাড়ি ছেড়েছিল। ১৫ দিন পর রায়পুরে এক দোকানে কাজ শুরু করেন। মিডিয়ার মাধ্যমে তার মৃত্যুর খবর পেয়ে সে তার পিসির বাড়িতে যায়।
No comments:
Post a Comment