আলোচনার পরও বদলায় নি পরিস্থিতি, রাতে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ কিয়েভে - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Tuesday, 1 March 2022

আলোচনার পরও বদলায় নি পরিস্থিতি, রাতে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ কিয়েভে



গত পাঁচ দিন ধরে ইউক্রেনে লাগাতার হামলা চলছে।  এ যুদ্ধে এ পর্যন্ত বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।  এদিকে, গতকাল অর্থাৎ ২৮ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেন নিয়ে আলোচনার টেবিলে এসেছে রাশিয়া।  দুই দেশের মধ্যে ৫ ঘন্টাব্যাপী বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় যে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা চলবে, এ ছাড়া অন্য কোনও চুক্তিতে পৌঁছানো যায়নি।  কিন্তু প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে বলে মনে হচ্ছে না।  আলোচনা শেষ হওয়ার পরপরই রাশিয়া কিয়েভ ও খারকিভে তাদের হামলা জোরদার করে।



 রুশ প্রতিনিধিদলের প্রধান ভ্লাদিমির মেডিনস্কি বলেন, "আমরা বৈঠকে আলোচ্যসূচির প্রতিটি দিক দেখেছি।  কিছু কিছু সময়ে উভয়ই পারস্পরিক অবস্থান দেখিয়েছে এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণভাবে আমরা সংলাপের প্রক্রিয়া চালিয়ে যেতে সম্মত হয়েছি।"


 

 গতকাল রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে বৈঠক হলেও কোনও সুনির্দিষ্ট সমাধানে পৌঁছাতে পারেনি।  তবে এটা নিশ্চিত যে দুই দেশের মধ্যে দ্বিতীয় দফা বৈঠক হবে।  প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এখন এই দুই দেশই বৈঠকে যে বিষয়গুলো ঘটেছে সেগুলো নিজ নিজ উপদেষ্টাদের কাছে নিয়ে যাবে এবং দ্বিতীয় দফায় ওই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হবে।  বেলারুশে অনুষ্ঠিত আলোচনায় রুশ প্রতিনিধি দলের প্রধান ভ্লাদিমির মেডিনস্কি বলেন, এখন রাশিয়া-ইউক্রেনের পরবর্তী বৈঠক বেলারুশ-পোল্যান্ড সীমান্তে অনুষ্ঠিত হবে।



 রাশিয়া এই যুদ্ধটিকে যতটা সহজ ভেবেছিল ততটা সহজ ছিল না।  রুশ সৈন্যরা ইউক্রেন থেকে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা পাচ্ছে।  রাশিয়া এখনও ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ দখল করেনি।  অন্যদিকে, উভয় দেশের স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা যাচ্ছে যে রুশ সেনারা ইউক্রেনে বেশ কয়েকটি ফ্রন্টে আক্রমণ করছে এবং কিইভের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।


 

 ইউক্রেন চায় রুশ সৈন্যরা নিঃশর্ত প্রত্যাবর্তন করুক।  ক্রিমিয়া এবং ডনবাসের উপর তার পূর্ণ অধিকার পাওয়া উচিৎ এবং রাশিয়ার ন্যাটোতে যোগদানে আপত্তি করা উচিৎ নয়।  অন্যদিকে রাশিয়া চায় ইউক্রেন যেন ন্যাটোর সদস্য না হয়।  তার উচিৎ মিনস্ক চুক্তি মেনে নেওয়ার পাশাপাশি ডনবাসকে সম্পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন দেওয়া।  আমেরিকা যদি ন্যাটোর সদস্য হওয়ার জন্য চাপ দেয়, তাহলে ইউক্রেনকে জোট নিরপেক্ষ দেশ হিসেবে ঘোষণা করা উচিৎ।  উভয় দেশ ইতিমধ্যে একে অপরের শর্ত মানতে অস্বীকার করেছে।  তবে পোল্যান্ড-বেলারুশ সীমান্তে পরবর্তী দফা আলোচনা কবে হবে বলে আশা করা হচ্ছে।  তাই মাঝামাঝি জায়গা হতে পারে।


No comments:

Post a Comment

Post Top Ad