আজকাল ঘর মশা মুক্ত রাখা খুব কঠিন হয়ে পড়েছে। অনেক ব্যবস্থা করেও তাড়ানো যায় না মশাদের। তারা সবসময় বাড়ির কোনও না কোনও কোণ থেকে বেরিয়ে আসে। মশা শুধু নিজেরাই আসে না, সাথে নিয়ে আসে একগুচ্ছ রোগও। রোগগুলোও এমন যে তাড়াতাড়ি সারেও না। ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া, ফাইলেরিয়াসিস, ভাইরাল ফিভার ইত্যাদি। মশা থেকে রেহাই পেতে আমরা অনেক সময় বাজার থেকে কিনে রাসায়নিক দিয়ে তৈরি অনেক পণ্য ব্যবহার করি। এগুলো আমাদের ত্বক ও শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর।
মশা থেকে বাঁচার অনেক প্রাকৃতিক উপায়ও রয়েছে। প্রকৃতির সাথে বসবাস করে আমরা কোন প্রকার নেতিবাচক প্রভাব ছাড়াই এর থেকে পরিত্রাণ পেতে পারি। কিছু আয়ুর্বেদিক গাছের সাহায্যে মশা ও পোকামাকড় দূরে রাখা যায়। তুলসী, কৃষ্ণ তুলসী, ওডোমস, পুদিনা, দমনক, জোয়ান, লংকা, রসুন, গাঁদা, লেমন গ্রাস, নিম, ইউক্যালিপটস, মুঙ্গা, নির্গুন্ডি, করঞ্জ, শীষম, ভাসা এবং কর্পূরের মতো আয়ুর্বেদিক উদ্ভিদ মশা তাড়ানোর মতো কাজ করে।
জেনে নিন এমনই কিছু গাছের কথা যা আপনার বারান্দা ও উঠানের সৌন্দর্য বাড়াবে এবং মশাকেও দূরে রাখবে।
তুলসী এবং কৃষ্ণ তুলসী -
তুলসী গাছ থেকে নির্গত সুগন্ধ মশা তাড়ানোর মতো কাজ করে। আপনাকে সুস্থ রাখতে এবং মশা তাড়াতে তুলসি খুবই উপকারী। ঘর থেকে মশা দূরে রাখতে একটি পাত্রে তুলসী গাছ রাখতে হবে।
গাঁদা ফুল -
গাঁদা ফুল শুধু আপনার বারান্দা এবং বাগানের সৌন্দর্যই বাড়ায় না, এর সুগন্ধ মাছি এবং মশাকেও ঘর থেকে দূরে রাখে। খুব কম মানুষই জানেন যে, গাঁদা ফুলে যে গন্ধ পাওয়া যায় তা মাছি ও মশারা পছন্দ করে না । তাদের গন্ধ মশাদের বিরক্ত করে ফলে তারা এর কাছাকাছি আসে না।
লেমন গ্রাস -
সুগন্ধের কারণে প্রতিটি ঘরেই লেমন গ্রাস ব্যবহার করা হয়। মশা তাড়ানোর কাজেও লেমন গ্রাস ব্যবহার করা হয়। এর মোহনীয় এবং সতেজ সুগন্ধ একদিকে যেমন মেজাজকে সতেজ করতে কাজ করে, অন্যদিকে মশাও পালিয়ে যায়।
নিম গাছ -
মশা, মাছি এবং ছোট পোকামাকড় দূরে রাখতে নিম গাছ লাগানো খুবই উপকারী। আপনার বাড়িতে যদি একটি বাগান থাকে, তাহলে অবশ্যই সেখানে একটি নিম গাছ লাগান। এতে ঘরে মশা প্রবেশ রোধ হবে।
রসুন -
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে রসুন খেলে রক্তে ভিন্ন ধরনের গন্ধ আসতে শুরু করে, যা মশারা একেবারেই পছন্দ করে না। আপনি যদি নিজে রসুন খেতে না চান, তাহলে অবশ্যই আপনার বাড়িতে রসুনের গাছ লাগান।
No comments:
Post a Comment