আমকে ফলের রাজা বলা হয়, কারণ এতে স্বাস্থ্য পরিবর্তন করার ক্ষমতা রয়েছে। প্রতিদিন একটি আম খেলে শরীর থেকে অনেক রোগ দূরে থাকে। গ্রীষ্মের মরসুমে আমের বাহার আসে এবং প্রচুর আম পাওয়া যায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক কত উপকারী এই মিষ্টি ও টক স্বাদের ফলটি।
আমের পুষ্টিগুণ :
আমের অভ্যন্তরে রয়েছে প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি। MedicalNewsToday-এর মতে, ১৬৫ গ্রাম আম খেলে শরীর প্রোটিন, ফাইবার, পটাসিয়াম, ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, বিটা ক্যারোটিন, ফোলেট ইত্যাদি পুষ্টি পায়।
আমের উপকারিতা :
রোগ এবং সংক্রমণ প্রতিরোধ -
নিউট্রিয়েন্টস অ্যান্ড নিউট্রিশন, মেটাবলিজম অ্যান্ড কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজেস-এ প্রকাশিত গবেষণা অনুযায়ী, আমে ভিটামিন এ, সি, বি৬, বি১২, ফাইবার, পটাসিয়াম ইত্যাদি পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী এবং সুস্থ হলে আপনি সর্দি, কাশি এবং অন্যান্য সংক্রমণ এড়াতে সক্ষম হবেন।
গর্ভাবস্থায় উপকারী -
আমের ভিতরে থাকা ফোলেট গর্ভাবস্থায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, গর্ভবতী মহিলার অভ্যন্তরে ঘটে যাওয়া শিশুর বিকাশে ফোলেট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই গর্ভবতী মহিলাদের অবশ্যই আম খাওয়া উচিৎ।
ত্বক এবং চুল স্বাস্থ্যকর করে তোলে -
আমে ভিটামিন সি এবং ভিটামিন এ উভয়ই রয়েছে, যা ত্বক ও চুলের জন্য খুবই উপকারী প্রমাণিত হতে পারে। ভিটামিন এ চুলের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং ভিটামিন সি ত্বককে টানটান করতে সাহায্য করে।
হজম সঠিক হয় -
আমে অনেক প্রয়োজনীয় এনজাইম রয়েছে, যা প্রোটিন ভেঙে শরীরে ব্যবহার করতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে আমের অন্দরে উপস্থিত অনেক অ্যাসিড পাকস্থলীর অ্যাসিডের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। যাতে সঠিকভাবে হজম হয়।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য ঘরোয়া প্রতিকার এবং সাধারণ তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এটি গ্রহণ করার আগে দয়া করে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। প্রেসকার্ড-নিউজ এটি নিশ্চিত করে না।
No comments:
Post a Comment