মণিপুর সহিংসতা নিয়ে কড়া পদক্ষেপ অমিত শাহের! মৃতদের পরিবারকেও ১০ লক্ষ ক্ষতিপূরণ
প্রেসকার্ড
নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ০১ জুন: মণিপুর সহিংসতার
তদন্ত করবে বিচার কমিশন।
কমিশনের নেতৃত্বে থাকবেন হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি। এ ছাড়া সহিংসতা সংক্রান্ত ছয়টি মামলার তদন্ত করবে সিবিআই। একই
সময়ে, যারা সহিংসতায় প্রাণ
হারিয়েছে তাদের প্রত্যেকের পরিবারকে সরকার ১০ লাখ টাকা
করে আর্থিক সহায়তা দেবে। চার দিনের মণিপুর
সফরে আসা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
অমিত শাহ বৃহস্পতিবার এই
বড় ঘোষণা করেন।
মণিপুর
সফরের শেষ দিনে ইম্ফলে
এক সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য দিতে গিয়ে শাহ
বলেন যে, ভুল বোঝাবুঝির
কারণে সহিংসতা হয়েছিল। রাজ্য উন্নয়নের পথে যাত্রা শুরু
করেছে। গত ছয় বছরে
অনেক উন্নয়নমূলক কাজও হয়েছে। মণিপুরে
বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর থেকে
হিংসা মুক্তির দিকে এগোচ্ছে। সহিংসতায়
যেই প্রাণ হারিয়েছে, সেটা দুঃখজনক। গত
তিন দিনে বিভিন্ন এলাকায়
গিয়ে নাগরিকদের সঙ্গে দেখা করেছি।
তিনি
বলেন যে, 'মণিপুরের ডাবল
ইঞ্জিন সরকার উন্নয়নের সমস্ত মানদণ্ড পূরণ করেছে। ২৯
এপ্রিল মণিপুর হাইকোর্টের একটি তাড়াহুড়ো সিদ্ধান্তের
কারণে, এখানে দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে
জাতপাত ও সহিংসতা শুরু
হয়। আমার আবেদন, যাদের
কাছে অস্ত্র আছে তারা যেন
সেগুলো সমর্পণ করে। আগামীকাল থেকে
গোটা মণিপুরে চিরুনি তল্লাশি শুরু করবে পুলিশ।'
কেন্দ্রীয়
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন যে, আগামী
দু-তিন দিনের মধ্যে
রেল পরিষেবাও পুনরুদ্ধার করা হবে। সমগ্র
রাজ্যে ১৫টি পেট্রোল পাম্প
২৪ ঘন্টা খোলা থাকবে। রেশন
বিতরণের জন্য সরকার একটি
পৃথক শিবির স্থাপন করবে, এর পাশাপাশি রেশন
কার্ডের মাধ্যমে লোকেদের খাদ্যশস্যও দেওয়া হবে। চিকিৎসা সুবিধার
জন্য ৮টি বিশেষ টিম
গঠন করা হয়েছে। একই
সঙ্গে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় যাতে কোনও বাধা
না পড়ে সেজন্য শিক্ষা
মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন আধিকারিকদের একটি দল এখানে
পৌঁছেছে।
পাশাপাশি সহিংসতাকারীদের
সতর্ক করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এ
ধরনের লোকদের ছাড় দেওয়া হবে
না।“ জনগণকে গুজবে কান না দেওয়ার
আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “সবাইকে
শান্তি বজায় রাখতে হবে। সকল মানুষকে
প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হবে। চিকিৎসা
হোক বা রেশন সরবরাহ,
সরকার সকলের জন্য পদক্ষেপ করছে।“
মণিপুর
সফরে অমিত শাহ মোট
১১টি রাজনৈতিক দল এবং ক্রীড়াবিদদের
সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তিনি
অস্থায়ী ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। এর পাশাপাশি নাগরিক
প্রতিনিধি ও মন্ত্রিপরিষদ মন্ত্রীদের
সঙ্গেও বৈঠক হয়েছে। শান্তি
প্রতিষ্ঠায় তিনি নারী প্রতিনিধি
ও বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গেও আলোচনা করেন।
সংবাদমাধ্যমের
সাথে কথা বলার সময়,
শাহ এসওও গ্রুপকে সতর্ক
করেন যে, চুক্তির যে
কোনও লঙ্ঘন কঠোরভাবে স্বীকার করা হবে। যদি
এটি ঘটে তবে এটি
চুক্তির লঙ্ঘন হিসাবে বিবেচিত হবে। তিনি বলেন,
‘যেসব চুক্তি হয়েছে, সেগুলোর শর্ত মানতে হবে।‘

No comments:
Post a Comment