লোকসভায় অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা ৮ অগাস্ট
প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ০১ আগস্ট : ৮,৯ এবং ১০ আগস্ট লোকসভায় মোদী সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হবে। একই সঙ্গে ১০ আগস্ট আলোচনার জবাব দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ৮ আগস্ট দুপুর ১২টা থেকে সংসদে আলোচনা শুরু হবে। মণিপুর ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীরা একটি অনাস্থা প্রস্তাব আনে, যা লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা গ্রহণ করেছিলেন। আলোচনা চলাকালীন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ হস্তক্ষেপ করবেন এবং মণিপুর সংক্রান্ত আলোচনার সময় যে প্রশ্নগুলি উত্থাপিত হবে সে সম্পর্কে তথ্য এবং সর্বশেষ আপডেট দেবেন।
সংসদের বর্ষা অধিবেশন শুরু হওয়ার একদিন আগে, মণিপুর থেকে একটি মর্মান্তিক এবং বিরক্তিকর ভিডিও প্রকাশিত হয়েছিল, যেখানে ২ মহিলাকে নগ্ন করে রাস্তায় হাঁটানো হচ্ছিল। তারপর থেকে বিরোধীরা দাবী করেছে যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে এ নিয়ে সংসদে কথা বলা উচিৎ। তবে অধিবেশন শুরুর আগে সংসদ চত্বরে এ নিয়ে বিবৃতি দেন এবং এর তীব্র নিন্দা করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তিনি বলেন, একটি অভিযোগও বাদ যাবে না। এর ফলে ১৪০ কোটি মানুষ মাথা নত করেছে।
একই সময়ে, বিরোধীদের দাবী ছিল যে সরকার বিধি ২৬৭ এর অধীনে বিশদভাবে আলোচনা করবে এবং পরে প্রধানমন্ত্রী মোদীর উত্তর দেওয়া উচিৎ। তবে সরকারের তরফে বলা হয়েছিল যে ১৭৬ বিধির অধীনে বিতর্কের জন্য প্রস্তুত। সরকার বিরোধীদের পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেছে। সরকারের তরফে বলা হয়েছে, মণিপুর পরিস্থিতি নিয়ে সংসদে উত্তর দেবেন অমিত শাহ। কিন্তু বিরোধীরা এর জন্য প্রস্তুত ছিল না।
বিরোধীরা তাদের দাবীতে অনড় ছিল এবং হট্টগোল অব্যাহত রেখেছে। এ ইস্যুতে বিরোধীরা যখন আর কোনও পথ দেখছে না, তখন সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার চিন্তাভাবনা করা হয়। বিরোধীরা বলছে, অন্তত সরকার এ নিয়ে সংসদে আলোচনা করবে। তিনি জানেন যে এই অনাস্থা প্রস্তাব সরকারের জন্য কোনও পার্থক্য করতে যাচ্ছে না। সরকারের কাছে সংখ্যা আছে, কিন্তু এর মাধ্যমে আমরা মণিপুর নিয়ে আমাদের মতামত তুলে ধরতে পারব, আলোচনা হবে এবং তারপর প্রধানমন্ত্রীকেও জবাব দিতে হবে।
কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন যে, "আমরা চেয়েছিলাম প্রধানমন্ত্রী নিজে এসে মণিপুর নিয়ে কথা বলুন। জানিনা কেন তিনি কথা বলছে না? আমরা অনাস্থা প্রস্তাব আনতে বাধ্য হয়েছি। এটা আমাদের বাধ্যতামূলক। আমরা জানি এটা সরকারের পতন ঘটাবে না, কিন্তু আমাদের কোনও বিকল্প নেই।"
অনাস্থা প্রস্তাবের জবাব বরাবরই প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন। সেই লক্ষ্যেই বিরোধীরা এই অনাস্থা প্রস্তাব এনেছে। এর আগে ২০১৮ সালেও মোদী সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়েছিল।

No comments:
Post a Comment