ডায়েটের মাধ্যমে পূরণ করতে পারেন শরীরে জিঙ্কের ঘাটতি
প্রেসকার্ড নিউজ, হেল্থ ডেস্ক, ১ সেপ্টেম্বর: শরীরকে সুস্থ রাখতে জিঙ্ক একটি প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান। জিঙ্ক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতেও সাহায্য করে। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ থেকে শুরু করে হৃদপিণ্ড, ত্বক ও চুলের জন্যও জিঙ্ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ক্ষত নিরাময় এবং ডিএনএ গঠনেও জিঙ্ক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমাদের শরীর নিজে থেকে জিঙ্ক তৈরি করে না, তবে আপনি ডায়েটের মাধ্যমে জিঙ্কের ঘাটতি অনেকাংশে পূরণ করতে পারেন। জেনে নিন শরীরে জিঙ্কের ঘাটতি হলে কোন কোন খাবার দিয়ে আপনি তা পূরণ করতে পারবেন।
জিঙ্কের প্রাকৃতিক খাদ্য উৎস :
ডিমের কুসুম -
ডিমের কুসুমে প্রচুর জিঙ্ক পাবেন। অনেকেই ডিমের হলুদ অংশ না খেলেও জিঙ্কের ঘাটতি মেটাতে এটি খাওয়া প্রয়োজন। ডিমের কুসুমে জিঙ্ক, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, ভিটামিন বি১২, থায়ামিন, ভিটামিন বি৬, ফোলেট এবং প্যানথেনোনিক অ্যাসিড পাওয়া যায়।
চিনাবাদাম -
জিঙ্কের ঘাটতি মেটাতে চিনাবাদামও খেতে পারেন। চিনাবাদামেও রয়েছে আয়রন, পটাসিয়াম, ফলিক অ্যাসিড, ভিটামিন ই, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফাইবার।
তিল -
জিঙ্কের ঘাটতি মেটাতে তিল খান। তিলের বীজে জিঙ্ক, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, কার্বোহাইড্রেট এবং বি কমপ্লেক্সের মতো উপাদান রয়েছে। এছাড়াও এতে প্রচুর পরিমাণে ফলিক অ্যাসিড রয়েছে।
রসুন -
রসুনেও জিঙ্ক পাওয়া যায়। শরীরে জিঙ্কের ঘাটতি থাকলে প্রতিদিন এক কোয়া রসুন খান। এতে ভিটামিন এ, বি এবং সি, আয়োডিন, আয়রন, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো পুষ্টি উপাদান শরীরে পৌঁছায়।
মাশরুম -
শরীরে জিঙ্কের ঘাটতি হলে ডায়েটে মাশরুম অন্তর্ভুক্ত করুন। ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, ফসফরাস এবং অনেক প্রয়োজনীয় প্রোটিন মাশরুমে পাওয়া যায়।
তরমুজের বীজ -
তরমুজের বীজ খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। এতে প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক, পটাশিয়াম ও কপার পাওয়া যায়। তরমুজের বীজ খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয় এবং রক্তে শর্করার মাত্রা বজায় থাকে। তরমুজের বীজ ধুয়ে শুকিয়ে রাখুন এবং খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করুন।
কাজুবাদাম -
শুকনো ফল খেলে শরীরে অনেক উপকার পাওয়া যায়। কাজুবাদাম জিঙ্ক, কপার, ভিটামিন কে, ভিটামিন এ এবং ফোলেট সমৃদ্ধ। এছাড়াও কাজু মনো এবং পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিডের একটি বড়ো উৎস। হার্টকে সুস্থ রাখা এবং ভালো চর্বি তৈরি করা ছাড়াও কাজুবাদাম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
দই -
দই পেটের জন্য খুবই স্বাস্থ্যকর। দইয়ে রয়েছে ভালো ব্যাকটেরিয়া, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং হজমশক্তিকে শক্তিশালী করে। দইয়েও ভালো পরিমাণে জিঙ্ক থাকে।
লেগুম -
লেগুমে পর্যাপ্ত পরিমাণ জিঙ্ক পাওয়া যায়। সিম, বিনস বা অন্যান্য লেগুম খাদ্যে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। লেগুম জিঙ্কের ভালো উৎস। এগুলিতে ফ্যাট এবং ক্যালোরি কম, প্রোটিন এবং ফাইবার বেশি পাওয়া যায়।
ছোলা -
ছোলাও জিঙ্কের ভালো উৎস। তাই খাদ্যতালিকায় সাদা ছোলা অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। এটি ফাইবার, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অন্যান্য পুষ্টি সমৃদ্ধ। জিঙ্কের ঘাটতি মেটাতে ছোলা সেদ্ধ করে বা সবজি বানিয়ে খেতে পারেন। এছাড়া মসুর ডালও জিঙ্কের ভালো উৎস।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ জ্ঞান ও ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে দেওয়া। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না। কোনও নতুন কিছু শুরুর আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞর পরামর্শ অবশ্যই নিন।

No comments:
Post a Comment