ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের নতুন অধ্যায়; বুধেই ৩ বড় প্রকল্পের উদ্বোধনে প্রধানমন্ত্রী মোদী-শেখ হাসিনা
প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ০১ নভেম্বর: আজ (বুধবার) প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের আরেকটি অধ্যায় যুক্ত হবে। দুই দেশের মধ্যে আন্তঃসীমান্ত রেলপথ সংযোগের দুটি প্রকল্প এবং বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহের একটি উচ্চাভিলাষী প্রকল্প যৌথভাবে উদ্বোধন করবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসব প্রকল্পের উদ্বোধন হতে যাচ্ছে ভারচুয়ালি।
আগরতলা-আখাউড়া ক্রস বর্ডার রেল যোগাযোগ, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে মংলা রেললাইন আজ থেকে শুরু হবে। এ ছাড়া আজ সকাল ১১টায় মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্লান্ট ইউনিট-২ উদ্বোধন করা হবে। ভারতের সহায়তায় বাংলাদেশের বিদ্যুৎ চাহিদা মেটাতে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের অংশ। এর আগে, মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টের প্রথম ইউনিট ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং শেখ হাসিনা উদ্বোধন করেছিলেন। বাংলা ভাষায় মৈত্রী মানে বন্ধুত্ব।
বাংলাদেশের থার্মাল পাওয়ার প্লান্টের জন্য ভারত ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিয়েছে। খুলনা বিভাগের রামপালে অবস্থিত এই প্রকল্পের আওতায় ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে। ভারতের এনটিপিসি লিমিটেড এবং বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (বিপিডিবি) এই প্রকল্পটি সম্পন্ন করেছে।
উদ্বোধন করা আন্তঃসীমান্ত রেল সংযোগের মধ্যে আগরতলা-আখাউড়া ক্রস বর্ডার রেল সংযোগ ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ, ভারতে ৫ কিলোমিটার এবং বাংলাদেশে ১০ কিলোমিটার সম্প্রসারিত। এই রেল সংযোগের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে যা ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করবে।
বর্তমানে ট্রেনটি আগরতলা থেকে কলকাতায় পৌঁছাতে প্রায় ৩১ ঘন্টা সময় নেয় তবে এই প্রকল্পের মাধ্যমে সময় ১০ ঘন্টা কমে যাবে। ভারতীয় রেলওয়ে তার বাজেট থেকে ১৫৩.৮৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে এবং ভারত সরকার প্রকল্পটির জন্য বাংলাদেশকে ৩৯২.৫২ কোটি টাকা সহায়তা দিয়েছে।
একইভাবে, খুলনা-মংলা বন্দর রেললাইন ভারত সরকারের রেয়াতি ঋণ সুবিধার আওতায় ৩৮৮.৯২ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে বাস্তবায়িত হয়েছে। এই প্রকল্পে মোংলা বন্দর এবং খুলনায় বিদ্যমান রেল নেটওয়ার্কের মধ্যে প্রায় ৬৫ কিলোমিটার ব্রড-গেজ রেল রুট নির্মাণ করা জড়িত, যা বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বন্দর মংলাকে ব্রড-গেজ রেলওয়ে নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত করে। এতে শুধু দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্কই মজবুত হবে না, বৃহৎ পরিসরে বাণিজ্যও বাড়বে।
No comments:
Post a Comment