'রামায়ণ-মহাভারত থেকেও জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী মোদীর মন কি বাত', দাবী মুখ্যমন্ত্রীর
প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ০১ জানুয়ারি: 'প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অনুষ্ঠান 'মন কি বাত' ১৯৮০-র দশকের টেলিভিশন ধারাবাহিক 'মহাভারত' এবং 'রামায়ণ'-এর চেয়ে জনসাধারণের মধ্যে বেশি জনপ্রিয়', রবিবার এমনই দাবী করলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। তাঁর নিজ নির্বাচনী এলাকা 'টাউন বারদোয়ালী'-তে দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে 'মন কি বাত'-এর ১০৮তম পর্ব শোনার পর তিনি এই মন্তব্য করেন।
জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, 'আমরা আমাদের মা-বোনদের প্রতি রবিবার দূরদর্শনে 'মহাভারত' এবং 'রামায়ণ' ধারাবাহিকের পরবর্তী পর্ব দেখার জন্য টেলিভিশনের দিকে ছুটে যেতে দেখতাম। আজকাল আমরা দেখি আমাদের মা-বোনেরা প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠান 'মন কি বাত' শোনার জন্য দৌড়াচ্ছেন, যা প্রতি মাসের শেষ রবিবার প্রচারিত হয়। এই অনুষ্ঠানটি ১৯৮০-র দশকে টেলিভিশনে প্রচারিত ধারাবাহিকের চেয়েও বেশি জনপ্রিয়।'
উল্লেখ্য, মহাভারত ১৯৮৮ সালে এবং রামায়ণ ১৯৮৭ তে দূরদর্শনে প্রচারিত হত। বি আর চোপড়া মহাভারত আর রামানন্দ সাগর রামায়ণ সিরিয়াল বানিয়েছিলেন। দুটি ধারাবাহিকই জনসাধারণের কাছে এতটাই জনপ্রিয় ছিল যে এগুলো প্রচারের সময় রাস্তাঘাট ও বাজার ফাঁকা হয়ে যেত।
এর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এবং ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) বরিষ্ঠ নেতা নিত্যানন্দ রাই বলেছেন যে, "প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর 'মন কি বাত' অনুষ্ঠান দেশের মানুষের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস।" রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ১০৮তম মন কি বাত অনুষ্ঠান উপলক্ষে তাঁর সংসদীয় এলাকায় সমষ্টিপুর জেলার উজিয়ারপুরের ডালসিংহসরাইয়ের পাণ্ডবস্থানে আয়োজিত জনসাধারণকে ভাষণ দিতে গিয়ে নিত্যানন্দ রাই বলেন, "মন কি বাতের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী সাংস্কৃতিক এবং দেশের কৃষক ও দরিদ্রদের কল্যাণের কথা বলেন, যা দেশবাসীর জন্য উপকারী এবং অনুপ্রেরণার উৎস।"
তিনি বলেন, "প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারত আজ একটি শক্তিশালী দেশে পরিণত হয়েছে এবং বিশ্বগুরু হওয়ার দিকে এগোচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকার সকল শ্রেণীর উন্নয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যার ফলশ্রুতিতে কেন্দ্রীয় প্রয়োজিত যোজনার লাভ সরাসরি পৌঁছে যাবে সাধারণ মানুষের কাছে।"
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই বলেন, "কিষাণ সম্মান নিধির অধীনে, সমষ্টিপুরের উজিয়াপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রায় ১ লক্ষ ৪০ হাজার কৃষকের অ্যাকাউন্টে প্রতি বছর ছয় হাজার টাকা পাঠানো হচ্ছে। এই অনুষ্ঠানে বিজেপি বিধায়ক অবধেশ সিং, বিজেপি জেলা সভাপতি উপেন্দ্র কুমার কুশওয়াহা, কিষাণ মোর্চার রাজ্য কোষাধ্যক্ষ প্রভাত কুমার ঠাকুর, জেলা সাধারণ সম্পাদক রাজীব চৌধুরী, বিজেপি দলসিংহসরাই গ্রামীণ পশ্চিম বিভাগের সভাপতি সোনু চৌধুরী এবং বিজেপি কিষাণ মোর্চার জেলা সভাপতি সুজিত ভাস্কর সহ বিপুল সংখ্যক মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
No comments:
Post a Comment