কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপির পথে কৌস্তভ বাগচী, হতে পারেন ব্যারাকপুরের প্রার্থী
কলকাতা: ফিরে এল ইতিহাস। সিপিএমের সঙ্গে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের যোগ সাজেশন অভিযোগ তুলে দল ছেড়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২৪ বছর পর কংগ্রেসের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ ছেড়ে দল ছাড়লেন কৌস্তভ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন মুখ্যমন্ত্রী। বাংলার শাসক বদলালেও কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অভিযোগ এক। মমতা থেকে কৌস্তভ। কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সারা দেশে একের পর এক নেতা এভাবেই অভিযোগ তুলে বেরিয়ে কেউ তৈরি করেছে নতুন দল আবার কেউ যোগ দিয়েছে অন্য দলে। কংগ্রেস নীরবে দাঁড়িয়ে তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগকে পাত্তা না দিয়ে শুধু নিজের খাওয়ায় দেখছে। এভাবেই শেষের পথে দেশের প্রাচীন দল কংগ্রেস।
প্রশ্ন এখানে যে দল নিজের দলের কর্মী নেতাদের কথা ভাবেনা সেই দল দেশের মানুষের উন্নয়নের কথা উন্নতির কথা কতটা ভাবতে পারে! ভাবা কি আদৌও সম্ভব? যদি তা সম্ভব হতো তাহলে কংগ্রেসের আজ এই অবস্থা হতো না আর এ কারণেই কংগ্রেসের উপর ভরসা আস্থা হারিয়েছে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটাররা। সে কারণেই দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ক্ষমতা হারিয়েছে কংগ্রেস । কেন্দ্রেও না ফেরার সম্ভাবনা বেশি। কারণ সাংগঠনিক শক্তি ও ভোটারদের সমর্থন নেই।
কংগ্রেস ছাড়লেন কৌস্তভ বাগচী। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার অর্জন খাড়গে এবং রাজ্য প্রদেশ সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে ইমেইল করে নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছেন কৌস্তভ। রাজ্যে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী আসার আগে কৌস্তভের দলত্যাগ বিজেপিতে যোগদানের জল্পনা তুঙ্গে। সূত্রের দাবী কৌস্তভ বিজেপিতে যোগ দিয়ে ব্যারাকপুর লোকসভার প্রার্থী হতে পারেন।
কংগ্রেস ছাড়ার কারণ হিসেবে কৌস্তুভ চিঠিতে উল্লেখ করেছেন অর্থসম্মান খুঁজে তিনি কংগ্রেসে থাকতে চান না। তবে তিনি মাথামুণ্ডন করে তৃণমূল সরকারকে বাংলা থেকে উৎপাত করার যে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন সেই অবস্থান থেকে সরছেন না। রাজনীতিতেই থাকবেন সেই বিষয়টি পরিষ্কার করে দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের এই আইনজীবী।
কৌস্তুভের কথায়, 'আমাকে হয়তো এখন অনেকেই দল বিরোধী তকমা দেবেন কিন্তু আমি বারবার একটা কথা বলে এসেছি এই দুর্নীতিগ্রস্ত তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেসের হাত মিলিয়ে লড়াইয়ের বিষয়টি আমি বিপক্ষে কংগ্রেসি এখানে নিজেকে তৃণমূলের আউটফিট বলে মনে করছেন। শীর্ষ নেতৃত্ব প্রদেশ কংগ্রেসকে কোনও গুরুত্ব দেয় না তাই আত্মসম্মানের সঙ্গে সমঝোতা করে দলে থাকতে চাই না।' এরপরে উসকে দেন বিজেপি যোগের জল্পনা। বলেন, 'দু-একদিন অপেক্ষা করুন পরিষ্কার হয়ে যাবে। একমাত্র শুভেন্দু অধিকারী পারেন বাংলা থেকে তৃণমূল সরকারকে হঠাতে।' অর্থাৎ কৌস্তভের গেরুয়া শিবিরের যোগ যে শুধু সময়ের অপেক্ষা বলাই বাহুল্য।
উল্লেখ্য সম্প্রতি একাধিক কিছু নিয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে শুরু করেছিল কৌস্তভের। তবে সন্দেশখালি কাণ্ডে যেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন সেখানে কংগ্রেস কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি, যা নিয়ে বিরক্ত তিনি। আবার সম্প্রতি তার বাড়ির এক অনুষ্ঠানে শুভেন্দুকেও আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। এবার গেরুয়া শিবিরের যোগ দিয়েই তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়তে চলেছেন তিনি এমনটা খবর রাজনৈতিক মহলে।

No comments:
Post a Comment