নিজস্ব প্রতিবেদন, ০১ নভেম্বর, কলকাতা : একই ট্র্যাকে দুটি ট্রেন মুখোমুখি। ট্রেনগুলিকে সামনাসামনি দেখে যাত্রীরা ভয় পেয়ে যান এবং ট্রেন থামার সাথে সাথেই এদিক ওদিক ঝাঁপ দিতে শুরু করেন। এ সময় কয়েকজন যাত্রী ট্রেনের ট্র্যাকে পড়ে যান। এই গাফিলতির কারণে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। তবে লোকো পাইলটের বুদ্ধিমত্তার কারণে বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি। দুর্ঘটনাটি বর্ধমানের। বলা হচ্ছে, পণ্যবাহী ট্রেনের ইঞ্জিনে ত্রুটি ছিল। এ কারণে মুখোমুখি দুই ট্রেন।
বৃহস্পতিবার সকালে হাওড়া বর্ধমান কর্ডলাইনে ঝাপানডাঙ্গা স্টেশনের সামনে একটি পণ্য ট্রেন থামে। এর কিছুক্ষণ পরেই হাওড়া থেকে বোলপুরগামী শান্তিনিকেতন এক্সপ্রেস (12337)ও তার ট্র্যাকে পৌঁছে যায়। এ ঘটনা দেখে যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং কিছু যাত্রী প্রাণ বাঁচাতে এদিক ওদিক ছুটতে থাকে। এ সময় হুড়োহুড়ি করে ট্রেনের ট্র্যাকেও পড়ে যান কয়েকজন।
ট্রেনে যাতায়াতকারী যাত্রীদের মতে, শান্তিনিকেতন এক্সপ্রেস ট্রেনটি হাওড়া বর্ধমান কর্ডলাইনে মাল ট্রেন থেকে অনেক দূরে থামে। ট্রেনটি মাঝপথে থামলে এবং সামনে আরেকটি ট্রেন দেখলেই কিছু যাত্রী খুব ভয় পেয়ে যায়। এদিকে যাত্রীরা চিন্তিত হয়ে প্রাণ বাঁচাতে এদিক ওদিক ছুটতে থাকে। যাত্রীরা জানান, লোকো পাইলটের বুদ্ধিমত্তার কারণেই বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি।
এ বিষয়ে তথ্য দিয়ে পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র জানান, ঝাপানডাঙ্গা স্টেশনে পৌঁছানোর আগেই পণ্যবাহী ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। এদিকে পিছন থেকে আসা শান্তিনিকেতন এক্সপ্রেস থেমে যায়। এখন আর দুর্ঘটনার ভয় নেই। কারণ এখন ট্রেনগুলো স্বয়ংক্রিয় সিগন্যালিং সিস্টেমে চলে রেলে কোনো যান্ত্রিক ত্রুটি বা সিগন্যাল ডিস্টার্ব নেই। স্টেশন মাস্টার জানান, পণ্যবাহী ট্রেনের ইঞ্জিনে ত্রুটির কারণে শান্তিনিকেতন এক্সপ্রেস সিগন্যাল না পেয়ে পেছনে থামে।

No comments:
Post a Comment