নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা, ৩০ ডিসেম্বর: গভীর রাতে বোমাতঙ্ক। স্ত্রীর বাড়িতে বোমা ফেলার অভিযোগ প্রাক্তন স্বামীর বিরুদ্ধে। আতঙ্কে গোটা গ্রাম। ঘটনাটি ঘটেছে মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার ঝিকোডাঙ্গা গ্রামে। গোটা ঘটনায় তদন্তে নেমেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাত ১ টা নাগাদ পরপর দুটি বোমার শব্দে কেঁপে ওঠে ঝিকো ডাঙ্গা গ্রাম।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ওই গ্রামের বাসিন্দা হালিমা পারভীনের বছর দশেক আগে বিয়ে হয় পার্শ্ববর্তী গ্রাম রহমতপুরের রহিম আলীর সঙ্গে। এরপরে দুই বছর আগে তাদের ডিভোর্স হয়ে যায়। তাঁদের দুই সন্তানও রয়েছে। বর্তমানে তারা রহিমের কাছেই থাকে। অভিযোগ, ডিভোর্সের পর থেকেই রহিম আলীর তরফ থেকে হালিমাকে ক্রমাগত হুমকি দেওয়া হতে থাকে। এমনকি প্রাণে মেরে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয় রহিমের পক্ষ থেকে। এই নিয়ে বেশ কয়েকবার গণ্ডগোলও হয়।
জানা যায়, বর্তমানে হালিমা ঝিকো ডাঙ্গার বাবার বাড়িতে আছেন। অভিযোগ, রবিবার রাত ১ টা নাগাদ হঠাৎ করে পরপর দুটি বোমার শব্দে কেঁপে ওঠে হালিমার বাড়ি। বাড়ির লোকেরা বাইরে এসে দেখতে পান তাঁদের এবং তাঁদের পাশের এক কাকার বাড়িতে বোম মারা হয়েছে। এরপরই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।
হালিমা বলেন, 'আমি বোমার আওয়াজে বাইরে এসে দেখতে পাই আমার প্রাক্তন স্বামী দৌড়ে পালিয়ে যাচ্ছেন। আমাকে প্রাণে মারার জন্যই এই বোমাটা ফেলেছে। ডিভোর্সের পর থেকে ক্রমাগত আমাকে হুমকি দিচ্ছে মেরে ফেলার। বিয়ের পর থেকে আমার ওপর ক্রমাগত অত্যাচার করত, আমি কাউকে বলতাম না। তারপরে অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে আমি ডিভোর্স দিয়েছি। এখনও আমার পিছু ছাড়ছে না। আমি এর আগেও থানায় অভিযোগ করেছিলাম কিন্তু কোনও ব্যবস্থা হয়নি।'
যদিও সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবী করেছেন রহিম আলী। তাঁর কথায়, ওর সঙ্গে আমার ডিভোর্স হয়ে গিয়েছে। তারপর থেকে কোনও সম্পর্ক নেই। হুমকি দেওয়ার অভিযোগ সম্পন্ন ভিত্তিহীন। আমি কাল রাতে আমার সন্তানদের সঙ্গে ঘুমিয়েছিলাম। আমাকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানোর জন্য এই ধরণের অভিযোগ তুলেছে।
এদিকে এই ঘটনার পরেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকা জুড়ে। গোটা ঘটনা তদন্তে নেমেছে পুলিশ।

No comments:
Post a Comment