প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ০১ জানুয়ারি: নতুন বছরের প্রথম দিনেই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। পুড়ে ছাই একাধিক বাড়ি, চারিদিকে হাহাকার। হিমাচল প্রদেশের কুল্লুর বানজার উপত্যকার তান্ডি গ্রামে বুধবার ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে, যাতে ঐতিহ্যবাহী খাস্তাকুনি শৈলীতে নির্মিত প্রায় ২০টি কাঠের বাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। দেবতার একটি ভাণ্ডারও আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। অগ্নিকাণ্ডে আনুমানিক ক্ষতি প্রায় ৫ কোটি টাকা, যা ৩০টি পরিবারের প্রায় ১০০ জন প্রভাবিত করেছে। স্থানীয় লোকজন সর্বাত্মক চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে কিন্তু মুহূর্তের মধ্যে তাদের ঘরবাড়ি ছাইয়ের স্তূপে পরিণত হয়।
আগুন যেন মুহুর্তেই ভয়াবহ আকার নেয়। একের পর এক কাঠের ঘরে আগুন ধরে যায়। ঘটনাস্থলে চরম বিশৃঙ্খলা ও আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। গ্রামবাসীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলেও কয়েক মিনিটের মধ্যেই তাদের বাড়িঘর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। আগুন লাগার সঠিক কারণ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত জানা যায়নি।
গ্রামের সব বাড়ি কাঠের তৈরি হওয়ায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এর পাশাপাশি উপত্যকায় শৈত্যপ্রবাহের কারণেও আগুন আরও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। আগুন এতটাই মারাত্মক আকার ধারণ করে যে, অনেক মানুষই তাঁদের ঘর থেকে কিছুই রক্ষা করতে পারেননি। যে বাড়িতে প্রথমে আগুন লেগেছিল সেখান থেকে শুধু গবাদি পশুই রক্ষা পেয়েছে। আগুনের লেলিহান শিখায় নিজেদের ঘর পুড়তে দেখে শিশু থেকে বৃদ্ধ কারও চোখের জলই যেন বাঁধ মানছিল না।
অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে বেলা প্রায় ৩টা ১ মিনিটের পর ফায়ার সার্ভিস বানজারের দল ঘটনাস্থলে যায়। কিন্তু ঘটনাস্থলে জলের যথাযথ ব্যবস্থা না থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। আগুনের ভয়াবহতা দেখে, ৬০ কিলোমিটার দূরে কুল্লু এবং ৩০ কিলোমিটার দূরে লারজি থেকেও ফায়ার ব্রিগেডের গাড়ি পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু ততক্ষণে গ্রামের অনেক বাড়ি ছাইয়ের স্তূপে পরিণত হয়ে যায়।
তান্ডি গ্রামে আগুন লাগার পর প্রশাসনিক কর্মীরাও ঘটনাস্থলে পৌঁছান এবং স্থানীয় বিধায়ক সুরেন্দ্র শৌরিও ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তিনি অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা দেওয়ার জন্য প্রশাসন ও সরকারের কাছে দাবী জানিয়েছেন।

No comments:
Post a Comment