প্রেসকার্ড নিউজ,লাইফস্টাইল ডেস্ক,৪ জানুয়ারি: ডায়াবেটিস, যা মধুমেহ নামেও পরিচিত,রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধির কারণে সৃষ্ট একটি রোগ।এই রোগটি আজকাল খুব সাধারণ হয়ে উঠেছে।তবে এর থেকে বাঁচতে সঠিক ডায়েট এবং জীবনধারা অনুসরণ করা খুব গুরুত্বপূর্ণ।ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ওয়াটার চেস্টনাট বা জলসিঙ্গারা একটি দুর্দান্ত বিকল্প হতে পারে,যা শুধুমাত্র সুস্বাদুই নয় রক্তে শর্করাকে নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করে।
ওয়াটার চেস্টনাট এবং রক্তে শর্করা:একটি প্রাকৃতিক সমাধান
ভারতীয় খাদ্যতালিকায় জলসিঙ্গারার একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান রয়েছে,বিশেষ করে যখন উপবাসের সময় এটি খাওয়া হয়। এতে খুব কম কার্বোহাইড্রেট থাকে এবং ফাইবার সমৃদ্ধ,যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।এতে থাকা ফাইবার হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে,যা চিনির শোষণকে ধীর করে দেয় এবং রক্তে শর্করার বৃদ্ধি রোধ করে।
কিভাবে জলসিঙ্গারা খাবেন?
এটি বিভিন্ন উপায়ে ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে-
কাঁচা খাওয়া:
জলসিঙ্গারা কাঁচা খাওয়া যেতে পারে।এতে এর সমস্ত পুষ্টি অটুট থাকে।
স্যুপ বা স্টিমড:
ওয়াটার চেস্টনাট স্টিম করে বা স্যুপে যোগ করে খাওয়া যেতে পারে।
জলসিঙ্গারার আটা:
রুটি,পরোটা বা হালুয়া উপবাস বা নিয়মিত খাবারের সময় এর আটা ব্যবহার করে তৈরি করা যেতে পারে।
ওয়াটার চেস্টনাট চাট:
এর মধ্যে শসা,টমেটো এবং লেবুর রস মিশিয়ে একটি সুস্বাদু চাট তৈরি করা যায়।
উপকারিতা -
ব্লাড সুগার কন্ট্রোল:
ওয়াটার চেস্টনাট রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।এটি খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধির গতি ধীর হয়,যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে।
ওজন কমাতে সাহায্য করে:
এটি ক্যালরি কম এবং ফাইবার সমৃদ্ধ,যা ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করে। এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে,যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী।
হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী:
এতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম, যা হার্টের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
হজমশক্তির উন্নতি ঘটায়:
এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকায় এটি পরিপাকতন্ত্রকে শক্তিশালী করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।
জলসিঙ্গারার পুষ্টি -
এটি পুষ্টিতে সমৃদ্ধ,যার মধ্যে রয়েছে:-
কার্বোহাইড্রেট:
এতে কম কার্বোহাইড্রেট থাকে,যা রক্তে শর্করার বৃদ্ধিকে ধীর করে দেয়।
ফাইবার:
এটি হজমের উন্নতি এবং রক্তে শর্করাকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
ভিটামিন সি:
এটি ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে এবং শরীরকে সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।
পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম:
হার্টের স্বাস্থ্য এবং সুষম রক্তচাপ বজায় রাখতে সহায়ক।
কারা জলসিঙ্গারা খেতে পারেন?
জলসিঙ্গারা খাওয়া বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী।এটি শরীরে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।যারা ওজন কমাতে চান বা পেটের সমস্যায় ভুগছেন (যেমন- কোষ্ঠকাঠিন্য বা বদহজম) তাদের জন্যও এটি ভালো। এটি গর্ভবতী মহিলা এবং শিশুদের জন্যও নিরাপদ বলে মনে করা হয়,তবে কোনও ডায়েট শুরু করার আগে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা সর্বদা ভালো।
জলসিঙ্গারা শুধু সুস্বাদুই নয়,এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য একটি প্রাকৃতিক ও কার্যকরী চিকিৎসাও বটে।এটি খাওয়া শুধু ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখে না,স্বাস্থ্যের জন্য আরও অনেক উপায়ে উপকার করে।এটি আপনার খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে আপনি ডায়াবেটিসকে ভালোভাবে পরিচালনা করতে পারেন এবং আপনার শরীরকে সুস্থ রাখতে পারেন।
বি.দ্র: এই বিষয়বস্তু,পরামর্শ সহ, শুধুমাত্র সাধারণ তথ্য প্রদান করে।এটা কোনওভাবেই যোগ্য চিকিৎসা মতামতের বিকল্প নয়। আরও তথ্যের জন্য সর্বদা একজন বিশেষজ্ঞ বা আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। প্রেসকার্ড নিউজ এর দায় স্বীকার করে না।
No comments:
Post a Comment