আমাদের বেশিরভাগই প্রতিদিন পেট সংক্রান্ত সমস্যার সম্মুখীন হয়। এর একটি বড় কারণ আমাদের নিম্নমানের খাদ্যাভ্যাস। এছাড়াও, ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করবেন না। লোকেরা কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে বিভিন্ন ঘরোয়া প্রতিকারের চেষ্টা করে, তবে কখনও কখনও এই প্রতিকারগুলি উপকারের পরিবর্তে পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করে তুলতে পারে। তাই কোষ্ঠকাঠিন্য হলে কিছু খাওয়ার আগে খুব সতর্ক হওয়া দরকার। তবে এমন অনেক খাবার রয়েছে যা কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে খুবই উপকারী প্রমাণিত হতে পারে। ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনিস্ট এবং ডায়েটিশিয়ান গরিমা গয়ালের মতে, আমাদের আশেপাশে এমন অনেক খাবার রয়েছে, যেগুলো খেলে আপনি কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে পারেন। কিন্তু আপনি কি জানেন, দিনের পরিবর্তে রাতে এই খাবারগুলি খাওয়া কোষ্ঠকাঠিন্যে আরও কার্যকর হতে পারে? হ্যাঁ, এই প্রবন্ধে আমরা এমনই ৫টি খাবারের কথা বলছি, যেগুলো রাতে খাওয়া হলে সকালে সহজেই পেট পরিষ্কার হয়।
কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে রাতে এই 5টি জিনিস খান-
1. ত্রিফলা চূর্ণ
কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পাওয়ার এটি একটি প্রাচীন রেসিপি। আয়ুর্বেদ অনুসারে, ত্রিফলা প্রদাহরোধী এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যে সমৃদ্ধ। রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস কুসুম গরম জলের সাথে ত্রিফলা চূর্ণ খেতে পারেন। এটি আপনাকে সকালে মলত্যাগে অনেক সাহায্য করবে।
2. মুনাক্কা এবং খেজুর
উভয়ই ফাইবারের চমৎকার উৎস। এছাড়া রাতে দুধে সিদ্ধ করে খাওয়া হলে তা হজমশক্তির উন্নতিতে সাহায্য করে। এটি মলকে শক্ত করে এবং মলত্যাগে সহায়তা করে। এগুলো শুধু কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেই সাহায্য করে না, অন্যান্য অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতাও দেয়।
3. মধু খান
রাতে হালকা গরম দুধে ১-২ মধু যোগ করে খেলে তা হজমশক্তির উন্নতিতে সাহায্য করে। আপনি চাইলে হালকা গরম জলে মধু মিশিয়েও খেতে পারেন। এতে সকালে পেট সহজে পরিষ্কার হবে।
4. Isabgol Husk
গ্যাস, বদহজম এবং পেট সংক্রান্ত অন্যান্য সমস্যায় ইসবগুলের ভুসি খাওয়া খুবই উপকারী। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে এটি খুবই কার্যকরী একটি চিকিৎসা। দুধে ইসবগুলের ভুসি মিশিয়ে রাতে ঘুমানোর আগে খেতে পারেন। আপনি চাইলে দইয়ের সাথে ইসবগুলের ভুসি মিশিয়ে খেতে পারেন। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে দ্রুত মুক্তি দেবে।
5. শণের বীজ
আপনি যদি রাতে ঘুমানোর আগে তেঁতুলের বীজ ভিজিয়ে খান, তাহলে এটি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে বেশ কার্যকরী প্রমাণিত হতে পারে। এছাড়াও, আপনি গরম দুধ বা জলে যোগ করে তেঁতুলের বীজের গুঁড়াও তৈরি করতে পারেন। তবে পাউডার এক চা চামচের বেশি নেবেন না।

No comments:
Post a Comment