উত্তরপ্রদেশের বান্দায় সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১২০০ ফুট উচ্চতায় বিশ্ব বিখ্যাত কালিঞ্জর দুর্গে নীলকন্ঠেশ্বরের একটি মন্দির অবস্থিত । এখানে স্থাপিত মূর্তিটি শিবপুরাণে সমুদ্র মন্থনের সময়কার বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সর্বপ্রথম হলাহল বিষ ভগবান শিব পান করলে তাঁর খুব গরম অনুভব হয়। এবং এরপর কালিঞ্জরে আসার পরই ভগবান শিব শীতলতা পান। আজও এখানে শিবের গলা থেকে ঘাম ঝরতে দেখা যায়।সেই যুগে স্বর্গরোহন কুন্ড সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৫০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত ছিল। এর জল কখনও শেষ হয়ে যায় না। তবে এই জল কোথা থেকে আসে এবং কোথায় যায়, তা কেউ জানে না।
সত্যযুগে এই মন্দিরটি ছিল সোনার। মন্দিরের পুরোহিত জানালেন, আজও এই মন্দিরের নীচে এই স্বর্ণ মন্দিরটি চাপা পড়ে আছে। কালকে জয় করে ভগবান শঙ্কর এখানে বিশ্রাম করেছিলেন। বলা হয় এই দুর্গ শের শাহ সুরি, আওরঙ্গজেব এবং আরও অনেক মুঘল শাসক আক্রমণ করে কিন্তু কেউ এই দুর্গ জয় করতে পারেননি।
আজও আওয়াজ ভেসে আসে এর রং মহলে। পায়ের নুপুরের আওয়াজ, অনেক বয়স্ক লোক বলেছেন যে আজও সাদা ঘোড়ায় থাকা সেনাবাহিনীকে দেখা যায়। জাদুতে ভরপুর এই দুর্গ। ১০ কিলোমিটার পরিসরে নির্মিত এই দুর্গে অনেক গুলো গুহা রয়েছে। এই গুহাগুলি থেকে চিত্রকূট যাওয়া যায়।
আজ, ভগবান নীলকন্ঠেশ্বর বাবার দর্শন এবং এখানে জল নিবেদনের জন্য, ২৫ টাকা ট্যাক্স দিতে হয়।

No comments:
Post a Comment