আচমকাই দলীয় পদ থেকে ইস্তফা কুণালের!
কলকাতা: আচমকাই দলীয় পদ থেকে ইস্তফা দিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ। রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্রের পদ থেকে ইস্তফা। সূত্রের খবর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তিনি সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছেন।
শুক্রবার সকালেই নিজের এক্স হ্যান্ডেল থেকে রাজনৈতিক পদ ও পরিচয় মুছে দেন তিনি। কেন এরকম সিদ্ধান্ত তা নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলেননি কুণাল। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে যথেষ্ট চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। কারণ এদিন বঙ্গ সফরে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর দলের হয়ে প্রতিবারই ব্যাট ধরেছেন কুণাল। আর এমন দিনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাজনৈতিক পরিচয় মুছে দেওয়া ও দলীয় পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে স্বাভাবিকভাবেই।
তবে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন কুণাল ঘোষ। তিনি লিখেছেন, "আমি তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র পদে থাকতে চাইছি না। সিস্টেমে আমি মিসফিট। আমার পক্ষে কাজ চালানো সম্ভব হচ্ছে না। আমি দলের সৈনিক হিসেবেই থাকব। দয়া করে দল বদলের রটনা বরদাস্ত করবেন না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমার নেত্রী, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আমার সেনাপতি, তৃণমূল আমার দল।"
এর পাশাপাশি এদিন নরেন্দ্র মোদীর আক্রমণেরও পাল্টা একটি ট্যুইট করেছেন কুণাল ঘোষ। তিনি লেখেন, "নরেন্দ্র মোদী বাংলার মাটিতে একরাশ কুৎসা করে গেলেন। যুক্তিতে তাঁকে ধুয়ে দেওয়া যায়। কিন্তু ঘটনা হল তাঁর করা সমালোচনার মূল দায়িত্ব যাঁদের, দুটি আলাদা বিরোধী দলের লোকসভার দলনেতারা তো প্রধানমন্ত্রীরই লোক। এঁদের সঙ্গে বিজেপির যোগাযোগ। এই দুজনকে দুই ভাবে ব্যবহার করেন মোদী। একজনকে রোজভ্যালি থেকে বাঁচিয়ে গলায় বকলস পরিয়ে রেখেছে।"
তবে কুণালের নিশানায় কোন নেতা? তারা কী দলেরই কেউ? নাম না করে কার বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন? এই প্রশ্নই ঘুরছে বিভিন্ন মহলে।



No comments:
Post a Comment